আমার ভালোবাসার গল্প

ভালোবাসা কম বেশি সবার জীবনে আসে কেউ প্রকাশ করে কেউ করে না। ভালোবাসা আমার জীবনেও আসছিলো। আমি একটা মেয়েকে অনেক ভালোবাসতাম আমার ভালোবাসার কথা আমার বাসার সবায় জানে ।...!

আমার ভালোসার গল্প শুরু হয় ১৭-১২-২০২০ এ আমি অনেক আগে থেকে ফোন চালায়। ২০১৯ সালের শেষের দিকে আমি গেম খেলা শুরু করি। সারা দিন গেম আর পড়াশুনা করে কেটে যেত ।...।

তার সাথে আমার যেদিন প্রথম কথা হয় সে দিন ছিলো ১৭-০২-২০২০। প্রতি দিন এর মত সেই দিন ও গেম খেলছিলাম। তখন একটা মেয়ে আমাকে SMS দেই। সেদিন থোকে শুরু হয় আমাদের কথা বলা। কিছু দিন কথা বলার পর আমরা ভালো বন্ধু হয়ে যায়। মেয়েটা সব সময় বাচ্চা দের মত করতো। তার নাম ছিলো দিপা আর আমি তাকে রোশনি  বলে ডাকতাম ।...।

দিপার ছটো বোন আমাকে SMS দিতো। এভাবে কেটে যায় এক মাস। আমি তখন যান্তে পারি দিপার ছোট বোন রুপা আমাকে পছন্দ করে। কিন্তু আমি রুপাকে আমার নিজের ছোট বোন এর মত দেখি তাই রুপাকে মানা করি ।...।


আর তখন কভিড-১৯ এর কারণে ইস্কল বন্ধ ছিলো বাসা থেকে কোথাউ যেতে পারতাম না। সার দিন বাসায় থাকতাম আর তার সাথে কথা বলতাম ।...।

এই ভাবে তার সাথে কথা বলতে বলতে চার মাস হয়ে যায়। এই চার মাস তার দুষ্টামি দেখতে দেখতে দিপাকে ভালো লেগে যায়। একদিন রাতে দিপাকে বলি আমার মনের কথা। কিন্তু দিপা আমকে না করে দেয় কারণ দিপা আমার থেকে তিন বছরের বড় ছিলো। দিপা আমাকে বলে আমরা ভালো বন্ধু হয়ে থাকি। আমি তাকে বলি যে বয়স দিয়ে কি আসে যায় ভালোবাসা থাকলে হবে। দিপা রাজি হয় না। আমিও আর কিছু বলি না। বন্ধু হয়ে থেকে যায় ।...।

মে. মাসে ১৪ তারিখ দিপার জন্মদিন ছিলো। আমি এই প্রথম বার কাউকে রাত জেগে wish করি। দিপা কে বলি সে আমার কাছে থেকে কি চায়। দিপা বলে আমি যেনো সারা জীবন তার বন্ধু হয়ে থাকি। আমি তাকে কথা  দেয় আমি সারা জীবন তার বন্ধু হয়ে থাকবো ।...।

দিপার জন্মদিন এর দুই মাস পর আমার জন্মদিন। আর আমার জীবনে প্রথম দিপা আমাকে wish করে। আমি দিপাকে বলি আমার Gift কই। সে বলে কাল দিবো।

তার পর দিন রাতের বেলা সেদিন ছিলো ০৩-০৭-২০২০ আমাকে সে ভালোবাসার কথা বলে। আমি সেই দিন অনেক খুশি হই। রাত ১০:০৩ বাজে ।....

আর সেই দিন থেকে আমার আর দিপার ভালোবাসার গল্প শুরু হয়। অনেক ভালো কাটছিলো আমার দিন গুলো। সব সময় তার সাথে কথা বলতাম। এই ভাবে দেখতে দেখতে একটা বছর হয়ে যায়।...।

(এক বছর পর) 

তখন ২০২১ রমজান মাস। সারা রাত তার সাথে কথা বলে সেহেরি খেয়ে নামাজ পড়ে ঘুমাতাম দুই জন। নয় রোজাতে জানতে পারি তাঁর আরো একটা ফেসবুক আইডি আছে। আমি তার কাছে থেকে আইডির Pasword নিয়ে আইভিতে যায়। দেখলাম সেই আইডিতে ছেলে আর ছেলে সবার সাথে কথা বলে। প্রথমে একটি আইডি দেখি সেখানে তার সাথে রিলেশন করে সে আমি তাকে বলি ছেলেটা কে দিপা বলে আমি এই আইডি চালায় না আমার বান্ধবি চালায় আমি আর কিছু বলি না। Inbox এর শেষে একটি আইডি দেখি যে একটা ছেলের আইডি ছিলো তাকে আমি চিনি এইটা অনেক আগে আমাকে বলে যে তার মামা হয়। তার পরও কেনো জানি তার আইডির ভিতর যায়। যেয়ে আমার মাথায় যেনো আকাশ ভেঙ্গে পড়ে। সেখানে কিছু কথা দেখলাম। 

দিপা সেই ছেলে কে বলছে তুমি কবে দেশে আসবা আর আমাকে কবে বিয়ে করবা। 

আর সেই ছেলে বলে খুব তাড়া তাড়ি আসবো পাগলি। আর চিন্তা কেনো করছো আমাদের তো বিয়ে ঠিক হয়ে গিছে বাসায় এসে তুমাকে নিয়ে আসবো ।

এই গুলা দেখে আমি দিপাকে বলি এই গুলাকি দিপা প্রথমে কিছু বলে না। তারপর বলে যে আচ্ছা তুমি যখন সব জেনে গিছো তা হলে শোনো। এই ছেলের নাম রাসেল। তুমার সাথে রিলেশষে আসার আগে আমি এই ছেলের সাথে রিলেশন করতাম। তার পর ও আমাকে বিয়ে করতে চায়। আর আমি যখন বাসায় বলি ওর কথা তখন তার পরিবার আমাকে দেখতে আসে আর আমাদের বিয়ে ঠিক হয়। রাসেল দেশে আসলে আমাদের বিয়ে হবে ।...।

এই কথা গুলা শুনার পর কি বলবো বুঝতে পারছিলাম না। আমার চোখ দিয়ে পানি চলে আসে। তারপর আমি দিপাকে বলি আমি তুমাকে আনেক ভালোবাসি। তুমাকে ছাড়া থাকতে পারবো না। দিপা আমাকে বলে তার হাতে কিছু নাই। আমি তাকে বলি ভালোবাসো আমাকে সে বলে আনেক ভালোবাসে তুমাকে । আমি দিপাকে বলি পালাব আমার সাথে। দিপ্য রাজি হয় সে আমার সাথে পালাবে। আমাদের দের ১৯ রোজাতে পালানোর কথা ছিলো। আমি সব  কিছু রেডি করছিলাম। ঢাকাতে চলে যাবো তাকে নিয়ে। ঢাকাতে একটা বড় ভাই ছিল ওনাকে বলে একটা বাসা ভাড়া আর একটা কাজ যোগাড় করছিলাম। আমি অনলাইনে কাজ করতাম সেখান থেকে কিছু টাকা রাখতাম। সব মিলিয়ে আমি তাকে নিয়ে পালানোর জন্য রেডি। 

১৭ রোজা রাতের বেলাতে দিপার খালামনি আমাকে কল দেয়। আমি দিপার খালামনিকে ছটো আম্মু  বলে  ডাকতাম। ছোট আম্মু আমাকে বলে দিপার যার সাথে বিয়ে ঠিক হয়েছিলো সে  নাকি আমার আর দিপার কথা জেনে গিছে। তাই  সে দিপাকে বিয়ে করবে না। আর দিপার আব্বু দিপাকে বলছে যে দিপা কে মেহেদি মানে আমার সাথে  বিয়ে দিবেতাই ছোট আম্মু আমার বাসায় কথা  বলবে। তারপর্ ছোট আম্মু আমার বাসায় কথা বলে  আমি সেদিন আমি অনেক খুশি হয়েছিলাম আমি যাকে ভালোবাসি তাকে আমার বউ করে পাবো । 

২৭ রোজাতে আমার বড় আপুর বাবু হবে তাই আপুকে নিয়ে হাসপাতালে  যায়। আনেক টেনশনে ছিলাম তার পরও দিপার সাথে কথা বলছি। তারপর সব কিছু ভালো ভাবে হয়। ঈদ ত্রর দিন সকালে।আপুকে নিয়ে বাসায় আসি। ঈদ এর নামাজ পড়ে আল্লাহ কাছে দুয়া করি যে আমি দিপাকে যেনো সারা জীবনের জন্য পেয়ে যায়। আর কিছু চায় না। নামাজ শেষ করে বাসায় এসে দিপার সাথে কিছু সময় কথা বলে  বলে ঘুমিয়ে পড়ি।

ঈদ এর দুই দিন পরে

বিকালে দুলাভাই আসে আমাদের বাসায়। দুলাভাই আপুকে বলে আমার কথা যে আজমির কি দিপার সাথে কথা বলে।আমি কেনো তার সাথে কথা বলি এই গুলা। তা আমি এই কথা শুনে আম্মুকে বলি ভায়ার কি দিপাকে পছন্দ করে না যে এই গুলা বলছে। আম্মুকে এই কথা বলে বাইক নিয়ে একটু ঘুরতে যায়। কিছু সময় ঘুরা ঘুরি করে বাসায় আসি এসে বঝতে পারি বাসায় আমাকে আর দিপাকে নিয়ে কিছু হয়েছে। আম্মু আমাকে ডাকে আমাকে বলে যে দিপা নাকি আজ সকালে আমার দুলাভাই কে কল দিছিলো। আর দিপা বলছে আজমির যেনো আমাকে কল না দেয় ২০ তারিখে তার বিয়ে। আমি দিপাকে কল দেয়া আর তাকে সব বলি। দিপা আমাকে তার মার কছম, বাবার কছম, ভাই-বোনএর কছম দিয়ে বলে যে সে যদি বিয়ে করে তো আমাকে করবে আর না হলে কোনো দিন সে বিয়ে করবে না।

সেদিন রাত ৮ দিকে আম আপু আমার রুমে আসে আর দিপাকে কল দেয়। আপু দিপাকে বলে তুমার বিয়ে কবে। দিপা আপুকে বলে ২০ তারিখে তখন মনে হলো আমার মাথায় আকাশ ভেঙ্গে পড়ে। আমি আপুর কাছে থেকে ফোন নিয়ে দিপাকে বলি যে তোমার যখন ২০  তারিখে বিয়ে তা হলে আমার সাথে নাটক করলা কেনো। সে কোনো কথা না বলে কল কেটে দেয়। আর আমাকে সব জায়গা থেকে ব্লোক করে দেয় । আমি সে দিন অনেক কান্না করি সারা রাত কান্না করি ।

পার দিন সকালে আমার আর বাসায় থাকতে ভালো লাগছিলো না। বার বার মনে হয় কিছু একটা করে মরে যায়।  কিন্তু আব্বু-আম্মুর দিকে তাকিয়ে পারলাম না। মামাকে কল দেয় আমাকে এসে নিয়ে যেতে বলি মামা এসে আমাকে নিয়ে যায়। মামা দের বাসায় থেকে দিপার আম্মুকে কল দেয়। তার কাছে থেকে  জানতে পারি দিপাকে সকালে ঢাকাতে তার কাকা দের বাসায় পাঠিয়ে দিছে। কিছু দিন মামা দের বাসায় থেকে আমাদের বাসায় আসার সময় দিপার খালার কাছে কল দেয়। তার খালা আমাকে বলে দিপার কোনো দিন বিয়ে ঠিক হয় নাই। দিপার (২০) তারিখে বিয়ে না। এই সব কিছু নাকি আমার দুলাভাই তাদের করতে বলছিলো। তাই তারা আমার সাথে এমন করছে। আমি এই কথা বিশ্বাস করি কারণ দিপা আমার বড় হওয়ার কারনে ভায়া তাকে পছন্দ করতো না ।...।

এভাবে কেটে যায় একমাস। যদি এখানে এই গল্পের শেষ হতো তা হলে হয়তো তাকে ভুলতে পারতাম। কিন্তু না তা হলো না।

এক মাস পর একটি মেয়ে আমাকে SMS দেয়। আর তার সাথে কথা বলার কোনো ইচ্ছা থাকে না কিন্তু মেয়েটি SMS এর পর SMS দিতে থাকে। তার পর মেয়েটির সাথে কথা বলি মেয়েটির বাসা ঢাকাতে মেয়ের নাম আদিয়া রাতের বেলা আদিয় আমাকে বলে যে আমি যাকে ভালোবাসি মানে দিপা নাকি আদিয়ার সাথে থাকে। আমি আদিয়া আপুর কাছে থেকে দিপার খোজ নিতাম। ১০ দিন পর তার সাথে কথা হয়। দিপার সাথে কথা বলে অনেক খুশি হয়। হ আমি এতোটায় খুশি হয় যে কান্না করে দিয়েছিলাম।তার পর আবার আমরা রিলেশনে যায় আবার অনেক ভালো কাটছিলো। সামনে আমার পরিক্ষা আর পরিক্ষা শেষ হলে পালাবো আমরা। এই ভাবে ৫ মাস কেটে যায়।...।

একদিন দিপা আমাকে বলে যে সে বাসায় যাবে। আমি বলাম যাউ। পর দিন বাসায় যায়। কিছু দিন বাসায় থাকে একদিন রাতের বেল। আমরা প্রতি দিন রাতে ভিভিও কলে কথা বলি সে দিন বলছিলাম কিন্তু কেনো যানি সে দিন তাকে হারানো অনেক ভয় লাগছিলো। দিপা আমাকে বলে কাল সে রাজশাহি থেকে ফরিদপুর আসবে। আমি তাকে মানা করি সে আমাকে তার আম্মু-আব্বুর কছম দিয়ে বলে সে যাবে না তারপর আমরা ঘুমিয়ে পড়ি। সে প্রতিদিন সকাল ৫ টায় আমাকে কল দিতো  কিন্তু সেদিন সে আমাকে কোনো SMS বা কল দেয় নাই ।...।

আর একটা কথাতো মনে নাই। আদিয়া আপুর  একটা বোন ছিলো  নাম আজমিরা। আজমিরা আমাকে পছন্দ করে। তার জন্য দিপা আর আজামরা ঝামেলা করতো। দিপা আদিয়া আপু একটা Facebook ID দিয়ে  আমার সাথে কথা বলতো বা আজমিরার বা আদিয়া আপুর ভয়েস  আমি কখনো  শুনি নাই। তারা আমার সাথে একটা Facebook ID দিয়ে তিন জন কথা বলে  এমনকি একটা Whatsapp দিয়ে আমার সাথে কথা বলে

যাই হোক আগের কথাতে যায়। । পরদিন সকাল ৮ তে ঘুম থেকে উঠি। ফোন হাতে নিয়ে কোনো SMS না দেখে ভয় লাগে যে দিপার কিছু হলো নাতো। দিপার একটা সমস্য ছিলো অনেক শরির খারাপ হতো মাঝে মাঝে। সে দিনটা ছিলো ০৫-০৮-২০২২ আমি অনেক ভয় পায় তোকে তাকে অনেক বার কল দেয় আমার ভয় আরো বাড়তে থাকে সেদিন তাকে ৬ ঘন্টায় ৩০০০ এর মতো SMS দিছলাম আর দুপুর (১২) টার দিকে সে আমাকেও SMS দয়ে বলে সে ফরিদপুর যাচ্ছে। আমি তাকে বলি এতো গুলা SMS দিলাম দেখো নাই। সে কিছু বলে না। আমি তাকে বলি গাড়ি থেকে নেমে আমাকে কল দিতে কিন্তুসে আমাকে কোনো কল দেয় না। তাকে আমি ১৫০০ বার কল দিচ্ছলাম কিন্তু কল ধরি নাই সে। আমি আদিয়া আপুকে কল দেয় ধরে না। আদিয়া আপু SMS  দেয় আদিয়া আপু আমাকে বলে দিপা যেখানে গিছে সেখানে নেট পায় না তাই সে আমার সাথে কথা বলতে পারছে না। আমাকে সে কাল কল দিবে ।....

পরদিনও সে আমাকে কল দেয় না। আদিয় আপুকে বলি আপু আমাকে বলে  যে মেহেদি দিপাকে ভুলেযা । আমি বলি কেনো আপু আমাকে বলে দিপরি নাকি অন্য কোথাউ বিয়ে ঠিক হয়েছে ।...।

তার পর আমি দিপার আম্মুর কাছে কল দেয়। তার আম্মুকে বলি আপনার মেয়েকে আমার সাথে বিয়ে দিবেন। সে আমাকে বলে বলে আমার মেয়ের (৭) দিন পর বিয়ে। আমি তাকে  অনেক ভাবে বোঝায় কিন্তু আমাকে বলে তুমার কি টাকা আছে যে তুমার সাথে আমার মেয়েকে বিয়ে দিবো। আমি তাকে বলি আমার শরিরের রক্ত বিক্রি করে হলেও আপনার মেয়ে কে ভালো রাখবো। কিন্তু সে আমার কোনো কথা শনে না। কল কেটে দেয়।...!

বিকালে আমার একটা বন্ধুকে কল দেয় তাকে সব বলি সে আমাদেরে এলাকাতে আসে আমি তার ফোন থাকে দীপা কে কলদি । কল দিয়ে শুন্তে পাই সে যেন কাদের সাথে হাঁসা হাসি করছে। আমাকে সে বলে কে আমি আমার নাম বলি

তার পর তাকে বলি তুমার নাকি বিয়ে ঠিক হয়েছে দিপা আমাকে বলে আমি কিছু জানি না হঠাৎ সব কিছু হয়ে গিছে। আমি তাকে বলি তেমার তো আরো ৫ বছর আগে বিয়ে ঠিক হয়ে ছিলো তাহলে  হাঁঠাৎ কি ভাবে হলো। তাই বলার সাথে সাথে কল কেটে  দেয়। আমি আর তাকে কল দেয় নাই।সেই দিন ও আমি অনেক কান্না করছিলাম। আমার সব বন্ধুরাও আমাকে ছেড়ে চলে যায়। আমি সারাদিন কান্না করতাম সারা দিন একা একা থাকতাম। ঠিক করে খেতাম না. এক কথায় আমি মরার মতো হয়ে গেছিলাম না পারতাম কাউকে কিছু বলতে না পারতাম থাকতে

এই ভাবে কিছু দিন \যায়। আমার মাঝে মাঝে মনে হতো আমার দিপার বিয়ে হয় নাই।  আমার দিপা আমার কাছে  ফিরে আসবে ।....
28-০৮-2022 এই দিনটা আমার সব ভুল ভাবনার অবসান ঘটে। আমার কাছে কেউ একজন কিছু ছবি পাঠায়। সেই ছবিগুলা। আমার ভালোবাসার মানুষ এর  বিয়ের ছবি।...।

ছবি গুলা দেখে  আল্লাহ কে বলি সে যেনো সুখি হয়। দিপার বিয়ে হয় রাসেলে এর সাথে আমি রাসেল কে আগে থেকে চিনি। এইটা নাকি দিপার মামা হতো। কিন্তু না (৫) বছর আগে দিপা এই রাসেল এর সাথে সাথে রেশেন করতো। তারপর তার সাথে বিয়ে ঠিক হয় ।....

আর এই ভাবে আমার ভালোবাসার গল্প শেষ হয় এখনো তাকে অনেক বেশি মনে পড়ে। সে আমার সাথে যে নাটক করছে তা আমি কোনো দিন ভুলবোনা। তাকে নিয়ে আমর হাতে কিছু কাটা দাগ আছে। সে আমাকে যতো বার কষ্ট দিছে আমি তত বার  হাত কাঁটছি। যা কোনো দিন যাবে না। আর আমি যতো বার হাতের দিকে তাকাবো তার কথা মনে পড়বে ।...।


দিপা আমার সাথে আরো অনেক অনেক নাটক করছিলো আমি পরে জান্তে পারি ।.

দিপার বিয়ে হয় ১৪-০৮-২০২২ কিন্তু আমি এতোটা বেকা হয়ে গেছিলাম যে আমার মোনে হয় আবার বোঝি আমার কাছে দিপা ফিরে আসবে। 28-06-2022 আমার ফনে কিছু ছবি আসে সেখানে দেখি আমার ভালোবাসার মানুষ অম্য একটা ছেলের পাশে বউ সেজে বসে আছে। সেদিন অনেক কান্না করি। আজ অনেকদিন হয়ে গেলো তার জন্য এখনো কান্না কারা করি 

তার বিয়ের কিছু মাস পর বুঝতে পারিয়ে দিপা কোনো দিন ঢাকাতে যায় নাই। আদিয়া বা আজমিরা নামে কেউ ছিলো না। এই তিন জন দিপা ছিলো দিপা একা আদিয়, আজমিরা সেজে কথা বলতো। তার পর আমি সব বুঝতে পারি। আর এই চার মাসে দিপার সাথে কথা হয় নাই। হয়তো সে ভালো আছে আর আমাকে এতো দিন ভুলে গিছে ।...।

দুয়া করি। দিপা ভালো থাকুক । সে যেনো আমাকে ভুলতে পারে। তাকে কোনো দিন ভুলতে পারবো না।...।

The End my love story
লেখা : ১১/১১/2০22
পোস্ট 2৪/১০/2০2৪






Post a Comment

0 Comments